রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:১৭ পূর্বাহ্ন
থানা প্রতিনিধি:মার্চের প্রথম সপ্তাহে উপজেলা পরিষদের তফসিল ঘোষণা দেবার কথা জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশনের তফসিল ঘোষণার এমন বক্তব্যর পরেই বরিশালের আগৈলঝাড়ায় বইছে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের আগাম হাওয়া। কেন্দ্রীয় নির্দেশের অপেক্ষায় থাকা বিএনপি’র এখন পর্যন্ত দলের পক্ষ থেকে নির্বাচনী কোন আলোচনা না থাকলেও ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগ ও তাদের নেতাকর্মীসহ সাধারণ জনগনের মধ্যে এখন একমাত্র আলোচনার বিষয় উপজেলা পরিষদ নির্বাচন।
নির্বাচনে আওয়ামীলীগ দলীয় আগ্রহী প্রার্থীরা সকলেই দক্ষিণা লে আওয়ামীলীগের অভিভাবক জাতির পিতার ভাগ্নে, বরিশাল-১ আসনের এমপি, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ’র সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধাশীল বলে জানিয়েছেন।
তবে, দলের তৃণমুল নেতাকর্মীসহ প্রার্থী হতে ইচ্ছুুক সকলেই বলেছেন, দুর্দিনে দলের কাজ করার পাশাপাশি ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতা কর্মীর মধ্য থেকেই যেন আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ দলীয় প্রার্থীকে মনোনয়ন প্রদান করেন। কারণ, দলের আগামী দিনের রাজনীতিতে সাংগঠনিক রাজনীতি চর্চার পাশাপাশি দক্ষিনা লে আওয়ামীলীগের অভিবাবক হাসানাত পরিবারের রাজনীতিতেও তিনি মূখ্য ভূমিকা পালন করতে পারেন।
দীর্ঘ ২৭ বছরেও উপজেলা পর্যায়ে আওয়ামীলীগের পূর্নাঙ্গ কমিটি না থাকায় এবার দলকে সু-সংগঠিত করতে নতুন করে কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত ও উপজেলা পরিষদে দলীয় ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়নের মাধ্যমে এবার সাংগঠনিক পদ পদবী বন্টন ও উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামীলীগের হাই কমান্ডের দ্বায়িত্বশীল একাধিক সূত্র।
ওই সূত্র আরও জানিয়েছে, দলীয় প্রার্থী মনোনয়নের আগেই উপজেলা আওয়ামীলীগের কমিটি গঠন হবার সম্ভাবনা রয়েছে। কমিটি গঠনকে সামনে রেখে দলীয় পদ ও উপজেলায় প্রার্থী সমন্বয় করা হবে বলেও ওই সূত্র নিশ্চিত করেছে। সেক্ষেত্রে দলের নিবেদিত ও ত্যাগী নেতাদেরই এবার মূল্যায়ন করবেন দলের কর্নধার এমপি আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ।
দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে অন্যতমরা হলেন ’৬৯ পালরদী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক, জেলা আওয়ামীলীগ সদস্য, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, আহ্বায়ক কমিটিতে একাধিকবার সদস্য সচিবের দ্বায়িত্ব পালনকারী, দল ও এলাকায় সাংগঠনিক লোক হিসেবে পরিচিত জেলা মুক্তিযোদ্ধা কামান্ড কাউন্সিলের ডেপুটি কমান্ডার আব্দুর রইচ সেরনিয়াবাত। তৃণমুল রাজনীতি থেকে উঠে আসা দলের অপর প্রভাবশালী প্রার্থী আবু সালেহ মো. লিটন বর্তমানে উপজেলা আওয়ামীলীগের সমন্বয়কারী হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করছেন।
কলেজ জীবন থেকে শুরু করে দীর্ঘ দিন যাবত দলের উপজেলা কমিটি না থাকায় সাবেক এই ছাত্রলীগ নেতা বিশ্বস্ততার সাথে দল এবং এপি হাসানাতের পক্ষে সকল কার্যক্রম স্বচ্ছতার সাথে অব্যাহত রেখেছেন।
দলের অপর মনোনয়ন প্রত্যাশী জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম মোর্তুজা খান। তিনি ২০০৯ সালে দলের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে জয়লাভ করেন। ওই সময় দলের মনোনীত প্রার্থী ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের আহ্বায়ক কমিটির প্রভাবশালী সদস্য রুস্তুম সেরনিয়াবাত।২০১৪ সালে দলের মনোনয়ন পান গোলাম মোর্তুজা খান।
এই নির্বাচনে রুস্তুম সেরনিয়াবাত দলেল বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশ গ্রহন করেন। বর্তমানে এই দুই নেতাও দলের হাই কমান্ডের কাছে নিজেদের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেতে জোর দাবি জানিয়ে আসছেন।
দলীয় অপর মনোনয়ন প্রত্যাশীরা হলেন সাবেক ছাত্রলীগ সাবেক সংগঠক, বরিশাল জেলা পরিষদ সদস্য ও হাসানাত পরিবারের বিশ্বস্ত এ্যাডভোকেট রনজিত কুমার সমদ্দার, উপজেলা যুবলীগের সাবেক নেতা ও বঙ্গবন্ধু কেন্দ্রীয় সৈনিক লীগের কার্য নির্বাহী কমিটির সহ-সভাপতি নাজমুল ইসলাম কিরণ সেরনিয়াবাত।
এছাড়াও দলের আরও অনেক নেতাই হাই কমান্ডের কাছে মনোনয়ন চাইতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে। সব মিলিয়ে আগৈলঝাড়ায় আওয়ামীলীগের কমিটি গঠন ও উপজেলায় দলীয় প্রার্থী নির্ধরন নিয়ে সর্বত্রই নির্বাচনী হাওয়া বইতে শুরু করেছে।
Leave a Reply